জনাব শেখ মিজানুর রহমান বর্তমানে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি)-এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বিএসইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ, ইস্টার্ন কেবলস লিঃ, এটলাস বাংলাদেশ লিঃ, ন্যাশনাল টিউবস লিঃ-এর কোম্পানী বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জাপান হোন্ডা ও বিইএসইসি’র যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিঃ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শেখ দিলদার রহমান এবং মাতা জাহানারা বেগম।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিপণন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
জনাব শেখ মিজানুর রহমান ১৯৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ১৫/০২/১৯৮৮তারিখে (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রাজশাহীতে সহকারী কমিশনার হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সহকারী কমিশনার, ১ম শ্রেণীর ম্যজিস্ট্রেট, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, ভূমি হুকুমদখল কর্মকর্তা, জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, উপসচিব হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে, যুগ্মসচিব হিসেবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এতদব্যতীত তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক ও দাতব্য কর্মকান্ডের সাথেও নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন ।
তিনি কর্মজীবনে দেশে ও বিদেশে বহু প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তিনি ইংল্যান্ড, আমেরিকা, মালায়শিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন এবং অস্ট্রেলিয়া জাপান, চীন, ব্রাজিল, সুইডেন, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ইত্যাদি দেশ ভ্রমণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত । জনাব শেখ মিজানুর রহমান-এর স্ত্রী জনাবা আশুরা রহমান একজন গৃহীনি এবং পেশায় তিনি একজন আইনজীবি। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক।